বিশেষ প্রতিনিধি, মোঃ মনির।।
রিপোর্টার মোঃ হারুন :// মিরপুরে শ্রমিক ছাঁটাই ও কারখানা ও কারখানা বন্ধের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সকালে রাস্তায় নেমে ভিক্ষোভ শুরু করে একটি গার্মেন্টসের শ্রমিকরা। তাদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে আশপাশের বিভিন্ন কারখানার শ্রমিকরা ভিক্ষোভে যোগ দেয়। সড়ক থেকে তাদের সরে যাওয়ার আহ্বান জানায় আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। এতে রাজি না হওয়ায় লাঠিচার্জের আশ্রয় নেয় তারা। তারপর ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় পরিবেশ বিস্ফোরণোন্মুখ হয়ে ওঠে। শ্রমিকরা সেনাবাহিনী ও পুলিশের গাড়িতে আগুন লাগিয়ে নিজেদের বেপরোয়া মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ ঘটায়। বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের ছাত্রবঙ্গ করতে শেষ পর্যন্ত টিয়ার গ্যাস ও গুলিবর্ষণ করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। সকাল সাড়ে ৮টা থেকে ১১টা পর্যন্ত রণক্ষেত্রে পরিণত হয় বিস্তীর্ণ এলাকা। গুলিবিদ্ধ হয় দুই শ্রমিক। যাদের একজনের পায়ে ও অন্যজনের পিঠে গুলি লেগেছে। শ্রমিক ছাঁটাই ও কারখানা বন্ধের প্রতিবাদে শ্রমিকরা বিক্ষোভে নামেন। ভিক্ষোভ প্রদর্শন তাদের নাগরিক অধিকার সন্দেহ নেই। কিন্তু যখন তখন সড়ক অবরোধ বা জনজীবন অচল করার অধিকার কারও থাকা উচিত নয়। সাধারণ নাগরিকদের পথ চলার অধিকার নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী শ্রমিকদের রাস্তা থেকে হটানোর চেষ্টা চালাইতে আরও বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে তারা। জুলাই গন অভ্যুত্থানের পর থেকে দেশের গার্মেন্ট শিল্পে শ্রমিক আন্দোলনের নামে একের পর এক সহিংস ঘটনা ঘটেছে। জ্বালাও পোড়াও ভাঙচুরের শিকার হয়েছে বিপুলসংখ্যক গার্মেন্ট। পোশাক শিল্পের নৈতিক বাচক অবস্থা বিদেশি ক্রেতাদের মধ্যে আস্থার সংকট সৃষ্টি করছে। রপ্তানি হ্রাস পেয়েছে উদ্বেগজনক ভাবে। পোশাক শিল্পে সরাসরি জড়িত দেশের ৪০ লাখ মানুষ। দেড় কোটি মানুষের অন্য জোগায় এ শিল্প । বৃহত্তর জাতীয় স্বার্থেই গার্মেন্ট অরাজকতা অবসানে সংশ্লিষ্ট সবাই যত্নবান হবেন এমনটিই প্রত্যাশিত।