নিজস্ব নিউজ//
ঢাকার কোটা সংস্কার আন্দোলন প্রত্যাহার করেছে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’।
আজকে রোববার (২৮ জুলাই) রাতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কার্যালয়ে আলোচনা শেষে সেখান থেকেই এক ভিডিও বার্তায় এ ঘোষণা দেন আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম।এ সময় আরও দুই সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ এবং সারজিস আলমকে উপস্থিত থাকতে দেখা গেছে।
আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রেক্ষিতে অদ্ভুত পরিস্থিতিতে অনেকে অপ্রত্যাশিতভাবে আহত এবং নিহত হয়েছেন।
নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, ‘আমাদের প্রধান দাবি কোটার যৌক্তিক সংস্কার, যা সরকার ইতোমধ্যে পূরণ করেছে। এখন শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ রক্ষার্থে দ্রুত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি জোর আহ্বান জানাই।
এর আগে শুক্রবার বিকালে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল থেকে আন্দোলনের তিন সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকেরকে নিয়ে যাওয়া হয় গোয়েন্দা হেফাজতে। এরপর শনিবার সন্ধ্যায় আরও দুই সমন্বয়ক সারজিস আলম ও হাসনাত আবদুল্লাহকে হেফাজতে নেয় ডিবি। রোববার আরেক সমন্বয়ক নুসরাত তাবাসসুমকে হেফাজতে নেওয়ার কথা জানায় ডিবি।
ডিবি হেফাজতে নেওয়া শিক্ষার্থীদের গ্রেপ্তার করা হয়নি বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
রোববার সচিবালয়ে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি বলেছেন, পুলিশ যদি মনে করে তারা ঝুঁকিমুক্ত, তখনই তাদের ছেড়ে দেওয়া হবে।
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে নাশকতা-সহিংসতায় গত কয়েকদিনে ১৪৭ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে সরকার। এদের মধ্যে সাধারণ মানুষ, সাধারণ শিক্ষার্থী, আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী, ও গণমাধ্যমকর্মী এবং পুলিশের কয়েকজন সদস্য রয়েছেন বলে জানা যায়।