রিদয় ইসলাম শিপলু://
কক্সবাজারের টেকনাফে মানব পাচারকারীদের জিম্মিঘর থেকে অপহৃত ১৪ জনকে উদ্ধার করেছে বিজিবি।গতকাল শনিবার রাতে উপজেলার সদর ইউনিয়নের উত্তর লম্বরী এলাকার সাইফুল ইসলামের বাড়ি থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়। তবে এ সময় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিকুর রহমান বলেন, টেকনাফ এবং আশপাশের এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে মানবপাচার এবং অপহরণের মতো অপরাধ সংঘটিত হয়ে আসছে। এসব অপরাধ দমনে আমরা নিয়মিত অভিযান চালিয়ে যাচ্ছি। এরই ধারাবাহিকতায় অপহরণ করে জিম্মি করে রাখা ১৪ জনকে নিরাপদভাবে উদ্ধার করতে পেরেছি।
তিনি আরও বলেন, তাদেরকে যে ঘরে রাখা হয়েছিল সেখানে তালাবদ্ধ ছিল। পরে তালা ভেঙে তাদেরকে জিম্মিঘর থেকে বের করা হয়। মূলত এদের কাছ থেকে ৫ থেকে ৬ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। অপহৃত অনেকেই ১ লাখ টাকা মুক্তিপণও দিয়েছে।
আশিকুর রহমান বলেন, কারা এই অপহরণে জড়িত, কী উদ্দেশে তাদের অপহরণ করা হয়েছে- তা জানতে আমরা ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলছি। বিষয়টি তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উদ্ধার হওয়া কক্সবাজারের বাসিন্দা মো. কাসেম ও মহিন উদ্দিন জানান, তারা দুজন উখিয়া উপজেলার ইনানীতে বেড়াতে গিয়েছিলো। সেখান থেকে এক সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালকের প্রলোভনে টেকনাফে গেলে আমাদের অপহরণ করে একটি বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে আরও বেশ কয়েকজনকে জিম্মি করে রাখা হয়। তাদের মারধর করে পরিবারের কাছে ভিডিও পাঠিয়ে এক লাখ টাকা করে আদায় করা হয়। এরপরও ১৮ দিন ধরে আমাদের জিম্মি করে রাখা হয়। তাদের উদ্দেশ্য ছিল সাগরপথে পাচারের জন্য দালালদের কাছে বিক্রি করে দেওয়া। অবশেষে বিজিবি এসে তাদের উদ্ধার করে।