ঢাকা | বঙ্গাব্দ

সাপের কামড়ে মুমূর্ষু রোগী: চিকিৎসকের প্রচেষ্টায় বেঁচে গেলো প্রান।

  • আপলোড তারিখঃ 05-06-2025 ইং |
  • নিউজটি দেখেছেনঃ 275883 জন
সাপের কামড়ে মুমূর্ষু রোগী: চিকিৎসকের প্রচেষ্টায় বেঁচে গেলো  প্রান। ছবির ক্যাপশন: ১




বান্দরবান প্রতিনিধি//


পার্বত্য জেলা বান্দরবানের লামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সাপের কামড়ে মুমূর্ষু এক রোগীর চিকিৎসকদের প্রচেষ্টায় প্রান বেঁচে গেলো। ২২ বছর বয়সী চাইনসোয়ে মার্মা নামের ওই যুবককে আশঙ্কা জনক অবস্থায় হাসপাতালে আনার পর জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসা দেওয়া হয়।


হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, আলীকদম উপজেলার চৈক্ষ্যং ইউনিয়নের রেপার পাড়া মন্নান মেম্বার পাড়া সংলগ্ন থোয়াইনচিং হেডম্যান পাড়ার উচিমং মার্মার ছেলে চাইনসোয়ে মার্মাকে বুধবার (৪ জুন ২০২৫) ভোর রাতে সাপে কামড় দেয়। পরিবারের সদস্যরা প্রথমে বিষয়টি বুঝতে না পারলেও পরে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে দ্রুত লামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে।


উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ শোভন দত্ত জানান, রোগী যখন হাসপাতালে আসে, তখন তার অবস্থা খুবই খারাপ ছিল। গলায় ব্যথা এবং বারবার অজ্ঞান হয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। জরুরি বিভাগে ভর্তির পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তার শারীরিক উপসর্গ দেখে বুঝতে পারেন যে, তাকে সাপে কামড়েছে। পরে রোগীর বিছানার বালিশের নিচ থেকে মৃত সাপটি উদ্ধার করা হয়।


ডাঃ শোভন দত্তের তত্ত্বাবধানে আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ মোঃ সোলেমান এবং মেডিকেল অফিসার ডাঃ মোঃ ফরহাদ উদ্দিন সহ নার্সদের একটি দল দ্রুত চিকিৎসা শুরু করে।


ডাঃ ফরহাদ উদ্দিন জানান, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা নিজে এনেস্থেসিওলজিস্ট হওয়ায় রোগীকে সিপিআর (কার্ডিওপালমোনারি রিসাসিটেশন) দেওয়ার ১০ মিনিটের মধ্যে তার হৃদস্পন্দন ফিরে আসে। এরপর রোগীকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয় এবং অ্যান্টিভেনম, অ্যাড্রেনালিন ও এট্রোপিন দেওয়া হয়।


আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ মোঃ সোলেমান জানান, লামা উপজেলা হাসপাতালে সাপে কাটা রোগীর চিকিৎসা এই প্রথম দেওয়া হয়েছে। রোগীর অবস্থা স্থিতিশীল হলেও উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে চট্টগ্রামে রেফার করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, সাপের কামড়ের চিকিৎসা দিতে গেলে রোগীর পরিবারের লোকজন প্রথমে বাধা দিচ্ছিল। পরে তাদের বুঝিয়ে রাজি করানো হয়।


চিকিৎসকরা জানান, এখন মূলত বর্ষার সময়, এই সময়ে সাপের উপদ্রব বেড়ে যায়,  তাই সবার সতর্ক থাকা উচিৎ, বিশেষ করে রাতে ঘরে সবাই সতর্কতার সহিত পর্যবেক্ষণ করা ও বিছানা বা শোয়ার জায়গা নিরাপদ এমন ব্যবস্থা নেয়া। এই মুহুর্তে হাসপাতালে পর্যাপ্ত অ্যান্টিভেনম না থাকায় নতুন রোগী এলে আমাদের পক্ষে চিকিৎসা দেওয়া কঠিন হয়ে যাবে।




কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ
notebook

রাঙ্গামাটিতে নবাগত পুলিশ সুপারের বিশেষ কল্যাণ সভা: পেশাদারিত্ব ও জনবান্ধব পুলিশিংয়ের নির্দেশ