ঢাকা | বঙ্গাব্দ

পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতীয় শাসন বাতিল করে রাষ্ট্রীয় প্রশাসন বাস্তবায়নের দাবি” — সার্বভৌমত্ব সুরক্ষা পরিষদের নাগরিক সমাবেশে ঐক্যবদ্ধ আহ্বান

  • আপলোড তারিখঃ 10-10-2025 ইং |
  • নিউজটি দেখেছেনঃ 16016 জন
পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতীয় শাসন বাতিল করে রাষ্ট্রীয় প্রশাসন বাস্তবায়নের দাবি” — সার্বভৌমত্ব সুরক্ষা পরিষদের নাগরিক সমাবেশে ঐক্যবদ্ধ আহ্বান ছবির ক্যাপশন: ১



মোঃ কামরুল ইসলাম :-

পার্বত্য চট্টগ্রামে রাষ্ট্রীয় সার্বভৌমত্ব রক্ষায় উপজাতীয় শাসনব্যবস্থা বাতিল করে সংবিধানসম্মত একক প্রশাসনিক কাঠামো প্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়েছে সার্বভৌমত্ব সুরক্ষা পরিষদ।


শুক্রবার (১০ অক্টোবর) বিকাল ৪টায়  রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক নাগরিক সমাবেশে এই দাবি জানানো হয়।

সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব।

প্রধান বক্তা ছিলেন বাংলাদেশ মুসলিম লীগের সভাপতি মহসিন রশিদ।

মূল আলোচক ছিলেন পার্বত্য নিউজ এর সম্পাদক মেহেদী হাসান পলাশ।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত সামরিক কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ টি এম জিয়াউল হাসান (অবঃ), কর্নেল হাসিনুর রহমান (অবঃ), লেঃ কর্নেল খন্দকার ফরিদুল আকবর (অবঃ), মেজর হারুনুর রশিদ (অবঃ), আরজেএফ চেয়ারম্যান এস এম জহিরুল ইসলাম, রিয়াজুল হাসান এবং ড. শরিফ আব্দুল্লাহ হিস শাকি।


এছাড়াও সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বিচারপতি আব্দুস সালাম মামুন, প্রধান উপদেষ্টা, সার্বভৌমত্ব সুরক্ষা পরিষদ এবং সঞ্চালনা করেন মো. মোস্তফা আল ইহযায, প্রধান সমন্বয়ক, সার্বভৌমত্ব সুরক্ষা পরিষদ।


সমাবেশে বক্তারা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম বাংলাদেশের অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং কৌশলগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র, প্রতিবেশী রাষ্ট্রের প্রভাব এবং উপজাতীয় উগ্রপন্থী সংগঠনগুলোর তৎপরতায় এ অঞ্চলের স্থিতিশীলতা মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। বক্তারা অভিযোগ করেন, রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধার প্রায় ৯০ শতাংশ দখলে রেখেও কিছু উপজাতীয় গোষ্ঠী রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপে লিপ্ত থেকে বাংলাদেশের অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্বের জন্য সরাসরি হুমকি সৃষ্টি করছে।


তারা বলেন, ১৯৯৭ সালের তথাকথিত “শান্তিচুক্তি” মূলত রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রের অংশ, যার মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামের ওপর উপজাতীয় আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। বক্তারা দাবি করেন, পার্বত্য অঞ্চলে বর্তমানে ৬টি সশস্ত্র উগ্র সংগঠন সক্রিয় রয়েছে যারা গুম, খুন, ভূমি দখল ও বাঙালি বিরোধী তৎপরতায় জড়িত।


বক্তারা আরও বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে কোনো বিচ্ছিন্নতাবাদী রাষ্ট্র গঠনের স্বপ্ন কখনোই সফল হবে না। রাষ্ট্রীয় সার্বভৌমত্ব রক্ষায় প্রয়োজনে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে


এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় রাজনীতিক, সাবেক সামরিক কর্মকর্তা, সাংবাদিক, আইনজীবী, পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে আগত ছাত্র প্রতিনিধি ও বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।


সার্বভৌমত্ব সুরক্ষা পরিষদের নেতৃবৃন্দ বলেন, রাষ্ট্রের নিরাপত্তা, সার্বভৌমত্ব ও নাগরিক অধিকার রক্ষায় আমরা সর্বদা রাষ্ট্রের পাশে আছি এবং থাকব। প্রয়োজনে দেশের জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে পার্বত্য চট্টগ্রাম রক্ষার জন্য কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।


নিউজটি পোস্ট করেছেনঃ মোঃ মনির

কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ
notebook

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও প্রশাসনিক কার্যক্রমে গতি আনতে রাঙ্গামাটির পুলিশ সুপারের লংগদু ও বাঘাইছড়ি সার্কেল অফিস পরিদর্শন