ঢাকা | বঙ্গাব্দ

কোটা সংস্কার আন্দোলন প্রত্যাহার করেছে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

  • আপলোড তারিখঃ 28-07-2024 ইং |
  • নিউজটি দেখেছেনঃ 596824 জন
কোটা সংস্কার আন্দোলন প্রত্যাহার করেছে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। ছবির ক্যাপশন: এখন সংবাদ ২৪

নিজস্ব নিউজ//


ঢাকার কোটা সংস্কার আন্দোলন প্রত্যাহার করেছে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’।  

আজকে রোববার (২৮ জুলাই) রাতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কার্যালয়ে আলোচনা শেষে সেখান থেকেই এক ভিডিও বার্তায় এ ঘোষণা দেন আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম।এ সময় আরও দুই সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ এবং সারজিস আলমকে উপস্থিত থাকতে দেখা গেছে।

আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রেক্ষিতে অদ্ভুত পরিস্থিতিতে অনেকে অপ্রত্যাশিতভাবে আহত এবং নিহত হয়েছেন।

এ ছাড়া রাষ্ট্রীয় স্থাপনায় অগ্নিসংযোগসহ নানা সহিংস ঘটনা ঘটেছে। আমরা এসব অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই এবং সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে বিচারের দাবি জানাচ্ছি।

 
নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, ‘আমাদের প্রধান দাবি কোটার যৌক্তিক সংস্কার, যা সরকার ইতোমধ্যে পূরণ করেছে। এখন শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ রক্ষার্থে দ্রুত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি জোর আহ্বান জানাই।
সার্বিক স্বার্থে এই মূহুর্ত থেকে আমরা আমাদের কর্মসূচি প্রত্যাহার করছি। ’

এর আগে শুক্রবার বিকালে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল থেকে আন্দোলনের তিন সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকেরকে নিয়ে যাওয়া হয় গোয়েন্দা হেফাজতে। এরপর শনিবার সন্ধ্যায় আরও দুই সমন্বয়ক সারজিস আলম ও হাসনাত আবদুল্লাহকে হেফাজতে নেয় ডিবি। রোববার আরেক সমন্বয়ক নুসরাত তাবাসসুমকে হেফাজতে নেওয়ার কথা জানায় ডিবি।

ডিবি হেফাজতে নেওয়া শিক্ষার্থীদের গ্রেপ্তার করা হয়নি বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

রোববার সচিবালয়ে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি বলেছেন, পুলিশ যদি মনে করে তারা ঝুঁকিমুক্ত, তখনই তাদের ছেড়ে দেওয়া হবে।

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে নাশকতা-সহিংসতায় গত কয়েকদিনে ১৪৭ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে সরকার। এদের মধ্যে সাধারণ মানুষ, সাধারণ শিক্ষার্থী, আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী, ও গণমাধ্যমকর্মী   এবং পুলিশের কয়েকজন সদস্য রয়েছেন বলে জানা যায়। 




কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ
notebook

রাঙ্গামাটিতে নবাগত পুলিশ সুপারের বিশেষ কল্যাণ সভা: পেশাদারিত্ব ও জনবান্ধব পুলিশিংয়ের নির্দেশ