ঢাকা | বঙ্গাব্দ

বান্দবানের রুমা উপজেলায়: পাইন্দু ইউপি সচিবের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ।

  • আপলোড তারিখঃ 02-04-2025 ইং |
  • নিউজটি দেখেছেনঃ 345265 জন
বান্দবানের রুমা উপজেলায়:    পাইন্দু ইউপি সচিবের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ। ছবির ক্যাপশন: ১



আফজাল হোসেন জয়।

বান্দরবান।


বান্দরবানের রুমা উপজেলায় সাংবাদিকের নাম ভাঙ্গিয়ে চাঁদা উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে পাইন্দু ইউনিয়ন পরিষদের সচিব রাজীব দাসের বিরুদ্ধে। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে ক্ষোভ।


সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায় ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরে উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন ও সংস্কার কাজের জন্য কাবিটা,কাবিখা'র আওতায় নগদ টাকা ও খাদ্য শস্য বরাদ্দ দেয় সরকার।


জানা যায়, ইউপি সদস্যদের নিয়ে পাইন্দু চেয়ারম্যান ও সচিবের পরামর্শক্রমে একটি বৈঠক বসেন। বৈঠকে সাংবাদিকদের সম্মানী দেওয়ার উদ্দেশ্যে প্রতি জন ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য থেকে ৭ হাজার ৫ শত টাকা করে চাঁদা উত্তোলনের সিন্ধান্ত হয়।


গত (৩১ মার্চ ২৫ইং) সন্ধ্যায় সদর ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণে দাঁড়িয়ে এক আলাপ চারিতায় পাইন্দু ইউপির দুই সদস্যের বক্তব্যে এসব তথ্য উঠে আসে।


নাম প্রকাশ না করা শর্তে,পাইন্দু ইউনিয়ন এর এক ইউপি সদস্য জানান,বৈঠকের পর উত্তোলিত সম্পূর্ণ টাকা নিজের কাছে জমা থাকায় চাপ প্রয়োগ করতে থাকেন ইউপি সচিব।


সূত্রের ভাষ্যমতে,একটি ইউনিয়নে ১২ জন সদস্য। পুরুষ পুরুষ সদস্য নয় জন আর মহিলা সদস্য তিন জন। প্রতি সদস্যর ৭ হাজার ৫ শত টাকা করে ১২ জনের কাছে হয় ৯০ হাজার টাকা।


অভিযুক্ত পাইন্দু ইউনিয়ন পরিষদের সচিব রাজীব দাস মুঠোফোনে মেম্বার প্রতি ৭ হাজার ৫ শত টাকা করে চাঁদা উত্তোলনের কথা স্বীকার করেন। তবে তিনি বলেন, এর মধ্যে এক সাংবাদিকের হাতে ৪ জনের জন্য ৮০ হাজার টাকা দেয়া হয়েছে। অবশিষ্ট টাকা কোথায় জানতে চাইলে কলটি কেটে দেন ইউনিয়ন পরিষদ সচিব রাজীব দাস। পরে কয়েক বার কল দিলেও কল রিসিভ করেননি তিনি,অতপর মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।


বরাদ্দ বন্টন নীতির আলোকে মোট প্রাপ্ত বরাদ্দ থেকে একটি অংশ প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়। যা আগে উপজেলা পরিষদের হাতে রাখা হতো।


উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে ইউনিয়ন পরিষদের অনুকূলে উপবরাদ্ধ প্রাপ্তির পর সভায় ইউনিয়ন পরিষদের সকল সদস্যদের উপস্থিতিতে সর্ব সম্মতিক্রমে প্রকল্প গুলো গৃহীত হবার কথা থাকলেও ইউনিয়নের বরাদ্দ গুলো চেয়ারম্যান ও সচিব যথেচ্ছা ভাবে গ্রহণ করে থাকে। কাগজে কলমে কার্য্য বিবরণী ঠিক থাকলেও কোন কোন জায়গায় প্রকল্প গ্রহণ করা হয়,তা অধিকাংশ সদস্য জানেনা। এমন অভিযোগ ইউপি সদস্যদের,কোন সদস্য কি প্রকল্প পেয়েছে,তা জানানো হয় না। কার্য্য বিবরণীও দেখান না সদস্যদের। প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি প্রস্তুত করে সভাপতি স্বাক্ষর নিতে যায়। তখনই সদস্যগণ জানতে পারে এই প্রকল্প তার নামে।


বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে পাইন্দু ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান উহ্লামং মার্মা পাড়ায় অবস্থানের কথা জানিয়ে বলেন,দেখা হলে বিস্তারিত কথা হবে।


উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার নিকট ইউপি সচিব কর্তৃক সাংবাদিকের নামে চাঁদা উত্তোলনের বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি অবগত নয় উল্লেখ করে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ কাওসার আলী বলেন গৃহীত প্রকল্পের বিপরীতে প্রথম কিস্তির বিল দেয়া হয়েছে। শত ভাগ কাজ শেষ করার পর চূড়ান্ত বিল ছাড়া হবে। এ কাজে স্থানীয়দের সবার সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন তিনি।




কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ
notebook

রাঙ্গামাটিতে নবাগত পুলিশ সুপারের বিশেষ কল্যাণ সভা: পেশাদারিত্ব ও জনবান্ধব পুলিশিংয়ের নির্দেশ