আফজাল হোসেন জয়।
বান্দরবান।
বান্দরবানের আলীকদম উপজেলার একটি অবৈধ ইট ভাটায় প্রশাসনের অভিযান। অভিযান চলাকালিন সময়ে মোবাইল কোর্টে ইট ভাটার মালিক কে অবৈধ ভাবে ভাটা কার্য্যক্রম পরিচালনার দায়ে জরিমানা করেন প্রশাসন।
৮ এপ্রিল ২০২৫ ইং বান্দরবানের আলীকদম উপজেলার ইউবিএম (UBM) নামক একটি ইট ভাটায় উপজেলা প্রশাসনের অভিযান, অভিযানে উপজেলা প্রশাসন কে সহায়তাদেন ফায়ার সার্ভিস।
ফায়ার সার্ভিস প্রশাসনের নির্দেশে পানি ছিটিয়ে ইট ভাটার চুল্লির আগুন নিভিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে।
অভিযান পরিচালনা করেন আলীকদম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবদুল্লাহ আল মুমিন। পরিবেশ আইন ও ইট ভাটা নীতিমালা লঙ্ঘনের অভিযোগে মোবাইল কোর্টে ইট ভাটার মালিক কে ৫০,০০০/-:টাকা জরিমানা করা হয়।'
এই অভিযানে ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় ইট ভাটার চুল্লিতে পানি ছিটিয়ে সম্পূর্ণ ভাবে এর কার্যক্রম স্থগিত করার চেস্টা করা হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা প্রশাসনের এই পদক্ষেপ'কে স্বাগত জানান।
তবে, স্থানীয় সচেতন মহল মনে করেন এটা একটা সাময়িক প্রয়াস মাত্র, এভাবে অবৈধ ইট ভাটা বন্ধ করা সম্ভব না, স্থায়ী ভাবে বন্ধ করতে হলে ইট ভাটা একেবারে গুড়িয়ে দিতে হবে। স্থায়ী ভাবে ভাটার চুল্লি ধ্বংস করতে হবে। ধ্বংস করে দিতে হবে স্থায়ী, অস্থায়ী চিমনি। নষ্ট করতে হবে সব কাঁচা ইট, তাহলে হয়তো বন্ধ হবে ভাটা। পানি মেরে প্রশাসন চলে যাওয়ার পর আবার ও জলবে চুল্লির আগুন পুড়বে মাটি, পুড়বে কাঠ, উঠবে ধোঁয়া, ধ্বংস হবে পরিবেশ। থামবে না মাটির কান্না।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.আবদুল্লাহ আল মুমিন বলেন, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী, ইট ভাটা গুলোকে পরিবেশ আইন মেনে সরকারি বিধি সম্মত ভাবে পরিচালনা করতে হবে। কোনো প্রকার অনিয়ম বা পরিবেশ দূষণ করলে শাস্তি মূলক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এখানে উল্লেখ্য পার্বত্য অঞ্চলে সকল প্রকার ইট ভাটার কার্যক্রম বা ইট ভাটা বন্ধ থাকার কথা সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী কিন্তু সরকারি সকল নির্দেশনা উপেক্ষা করে কোন যাদু শক্তির বলে চলছে ইট ভাটা গুলি? সরকারি নির্দেশনাকে থোড়াই কেয়ার করে দাম্ভিকতার সহিত ইট ভাটা পরিচালনা করছে ভাটা মালিকগন। তাদের এই শক্তির উৎস কোথায় সেটা কি কর্তাব্যক্তি বা উপর মহল একটু ভেবে দেখবেন! এটুকু প্রত্যাশা তো আম জনতা করতেই পারে। এই অনিয়ম এর লামাম টেনে ধরা কি খুবি কঠিন এমন প্রশ্ন সাধারন জনতার মুখে মুখে