ঢাকা | বঙ্গাব্দ

শেখ হাসিনা বাংলাদেশে ফিরবেন: জয়

  • আপলোড তারিখঃ 08-08-2024 ইং |
  • নিউজটি দেখেছেনঃ 597186 জন
শেখ হাসিনা বাংলাদেশে ফিরবেন: জয় ছবির ক্যাপশন: ছবি সংগৃহীত

বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরবর্তী গন্তব্য নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, ৭৬ বছর বয়সী এই নেত্রী গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হলেই দেশে ফিরবেন। বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) ভারতীয় বার্তা সংস্থা পিটিআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এই মন্তব্য করেছেন।

জয় বলেছেন, শেখ হাসিনা অবসরপ্রাপ্ত না সক্রিয় রাজনীতিক হিসেবে ফিরবেন, তা নিয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি।বৃহস্পতিবার প্রকাশিত সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, এটি সত্য যে আমি বলেছিলাম তিনি দেশে ফিরবেন না। তবে গত দুদিনে আমাদের দলের নেতা ও কর্মীদের ওপর হামলার পর অনেক কিছু পাল্টে গেছে। এখন আমরা আমাদের মানুষদের নিরাপত্তার জন্য যা যা প্রয়োজন তা করব। আমরা তাদের একা ছেড়ে যাব না।

জয় আরও বলেন, "আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের বৃহত্তম এবং প্রাচীনতম রাজনৈতিক দল। তাই আমরা আমাদের মানুষকে একা ছেড়ে যেতে পারি না। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হলে তিনি অবশ্যই দেশে ফিরবেন।

শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হচ্ছেন নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বৃহস্পতিবার রাতেই তার শপথ নেওয়ার কথা। ঢাকায় পৌঁছে তিনি শান্তি বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন।

জয় আশা প্রকাশ করেছেন যে, অতীতের ভুল ভবিষ্যতের পথে বাধা হবে না বলে ড. ইউনুস যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তা তিনি রক্ষা করবেন।

জয় নিজের এবং তার সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ সম্পর্কে বলেছেন, আমি সুনির্দিষ্টভাবে এই প্রশ্নের উত্তর দিতে পারি না। তবে বাংলাদেশ ও আওয়ামী লীগকে সুরক্ষিত রাখতে আমার যা কিছু করার দরকার তা করব। শেখ মুজিবের পরিবার বিপদে তাদের একা ছেড়ে দেবে না।

সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশে চলমান অস্থিরতার জন্য পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইকে দায়ী করেছেন জয়। তিনি বলেছেন, যে-সব পারিপার্শ্বিক প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে তাতে করে আমি পাকিস্তানের আইএসআইয়ের সম্পৃক্ততা সন্দেহ করছি। হামলা ও প্রতিবাদগুলো অত্যন্ত সমন্বিত, পরিকল্পিত এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উত্তেজনা ছড়ানো হয়েছে। সরকার পরিস্থিতি শান্ত করতে যত চেষ্টা করছে তারা পরিস্থিতি অবনতির দিকে নিয়ে গেছে।




কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ
notebook

রাঙ্গামাটিতে নবাগত পুলিশ সুপারের বিশেষ কল্যাণ সভা: পেশাদারিত্ব ও জনবান্ধব পুলিশিংয়ের নির্দেশ