স্টাফ রিপোর্টার ://
কিশোরগঞ্জ জেলা পরিবার পরিকল্পনার কার্যালয়ের প্রজেকশনিস্টের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের দুর্নীতির অভিযোগে অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
লিখিত অভিযোগ ও সরজমিনে জানাযায়,
কিশোরগঞ্জ জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ে কর্মরত প্রজেকশনিস্ট মোঃ কামরুজ্জামান খান এর বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণ ও দুর্নীতির লিখিত উপযোগটি করেন ভুক্তভোগী মহিলা। অভিযোগের পর থেকে মোঃ কামরুজ্জামান খান প্রজেকশনিস্ট অভিযোগকারীকে বিভিন্ন ব্যক্তি ও মাধ্যমে হুমকি ও হয়রানি করছে বলেও দাবি করেন ভুক্তভোগী মহিলা । অভিযোগ না তুললে অভিযোগকারী ও তার পরিবারের ক্ষতি করবে বলেও জানান তিনি।
অভিযোগকারী আরও বলেন,তার বিরুদ্ধে আরো কয়েকবার লিখিত ও মৌখিক অভিযোগ দেওয়ার পরেও কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় নাই। তাই অভিযোগকারী মোঃ কামরুজ্জামান কে বদলি করে সুস্থ তদন্ত করার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন করেন। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কিশোরগঞ্জ জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের উপপরিচালক খন্দকার মাহবুবুর রহমান বলেন. অভিযোগ পেয়েছি ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায় যে, প্রজেকশনিস্ট মোঃ কামরুজ্জামান খান এর কাজ হচ্ছে জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে হাট বাজার, স্কুল কলেজ ও জনবহুল স্থানে ভ্রাম্যমান চলচ্চিত্র প্রদর্শনের মাধ্যমে জনসাধারণের মাঝে মা ও শিশু-স্বাস্থ্য,পুষ্টি, পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি, কিশোর কিশোরী সেবা বিষয়ক সচেতনতা তৈরি করা।
কিন্তু তিনি উক্ত কাজ না করে ভুয়া রিপোর্ট তৈরি করে উক্ত কাজের জন্য সরকারি বরাদ্দকৃত জ্বালানি তেল,গাড়ি মেরামত, মালামাল লোড আনলোড,ও ভ্রমণ বিল বাবদ অর্থ উত্তোলন করে সরকারি লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করছেন।
এ ছাড়াও তিনি একজন প্রজেকশনিস্ট হয়েও জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের অফিস সহকারীর দায়িত্ব পালন করছেন। সূত্রে জানা যায় দীর্ঘ ১৮ বছর যাবত একই অফিসে কর্মরত থেকে তিনি উপজেলার কর্মচারীদের নিকট হতে পেনশন, জিপিএফ, বদলি, ছুটি ও নানাবিধ কাজে জটিলতা তৈরি করে ভয়ভীতি দেখিয়ে ঘুষ আদায় করে থাকেন।
আরো খোঁজ নিয়ে জানা যায় মোঃ কামরুজ্জামান খান ৩য় শ্রেণী একজন কর্মচারী হয়েও ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে টাকা উপার্জন করে কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের ৩( তিন) থেকে ৪(চার) টি বাড়ী ও ২(দুই) থেকে ৩(তিন) নামে বেনামে প্লট ক্রয় করেছেন এবং পার্শ্ববর্তী জেলার নান্দাইল উপজেলা পৌরসভায় একাধিক বাড়ি ও প্লট নামে বেনামে রহিয়াছে দাবি করেন ভুক্তভোগীসহ অনেকে।
অভিযোগ ও তদন্তের বিষয়ে জানতে চাইলে,কামরুজ্জামান খান বলেন এসব অভিযোগ মিথ্যা, আমার স্ত্রীও একজন চাকরিজীবি ২ জনের টাকা এসব বাড়ি করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির বিষয় আমি জানি না।