মোঃ মনিরহোসেন ://
শেরপুরের নকলায় সরকারি কৃষি প্রণোদনা না পাওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহরিয়ার মোরসালিন মেহেদীকে কর্তব্যরত অবস্থায় ছাত্রদলের এক নেতা কর্তৃক মারধরের ঘটনা ঘটেছে। এতে ওই উপজেলা ছাত্রদলের নেতা (সদস্য সচিব) রাহাত হাসান কাইয়ুমকে দ্রুত গ্রেপ্তার এবং বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন করেছেন কৃষি সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।
উপজেলা পরিষদ ভবনের সামনে এবং বিকেলে শেরপুর জেলা খামারবাড়ি কার্যালয়ের সামনে এই মানববন্ধন এবং সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, শেরপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, জেলা খামারবাড়ি, কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ, বিসিএস কৃষি অ্যাসোসিয়েশন এবং ডিপ্লোমা কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনের নেতৃবৃন্দ অংশ নেন।
মানববন্ধন এবং সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা দ্রুত সময়ের মধ্যে রাহাত হাসান কাইয়ুমকে গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনা এবং এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে ৬ দফা দাবি তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ময়মনসিংহ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক ড. সালমা লাইজু, ময়মনসিংহ অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালকের কার্যালয়ের উপপরিচালক সালমা আক্তার, তেলজাতীয় ফসল উৎপাদন প্রকল্পের সিনিয়র মনিটরিং অফিসার খাইরুল আমিন শোয়েব, পার্টনার প্রকল্পের সিনিয়র মনিটরিং অফিসার ড. সালাহউদ্দিন কায়সার, শেরপুর জেলা খামারবাড়ির উপপরিচালক মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন, অতিরিক্ত উপপরিচালক (উদ্যান) মো. আলমগীর কবীর এবং ভুক্তভোগী কৃষি কর্মকর্তা শাহরিয়ার মোরসালিন মেহেদীসহ অন্যান্যরা।
: উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার দুপুরে সরকারি কৃষি প্রণোদনা না দেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহরিয়ার মোরসালিন মেহেদীর অফিসকক্ষে প্রবেশ করে তাকে মারধর করেন নকলা উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব রাহাত হাসান কাইয়ুম ও ছাত্রদল কর্মী ফজলু। এ ঘটনায় কাইয়ুম ও ফজলুর বিরুদ্ধে নকলা থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মারধরের সিসিটিভি ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর এই নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। ঘটনার পরপরই কেন্দ্রীয় ছাত্রদল থেকে রাহাত হাসান কাইয়ুমকে বহিষ্কার করা হয়।