দেশে ভোগ্যপণ্যের দ্বিতীয় বৃহৎ পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জের তেল-চিনির বাজার লাগাম টানা যাচ্ছে না। প্রতিদিনই বাড়ছে দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি মণ ভোজ্যতেলে প্রায় তিনশ ও চিনিতে দুইশ টাকা বেড়েছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) থেকে খাতুনগঞ্জের বাজারে ভোজ্যতেল ও চিনির সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে আলোচিত শিল্পগ্রুপ এস আলম। খাতুনগঞ্জের পাইকারি বাজারে বড় জোগানদাতা ছিল শিল্পগ্রুপটি। তবে এতে বাজারে সংকট হবে না বলে দাবি করেছেন বাজারের ব্যবসায়ীরা।
দীর্ঘদিন দেশে বৈদেশিক মুদ্রা সংকটের কারণে আমদানি পণ্যের ঋণপত্র খুলতে হিমশিম অবস্থা তৈরি হয় আমদানিকারকদের। এর মধ্যে সাতটি ব্যাংক নিজেদের নিয়ন্ত্রণে থাকার সুযোগে এস আলম গ্রুপ নিয়মিত ভোগ্যপণ্য আমদানি করে আসছিল। খাতুনগঞ্জে ভোজ্যতেল ও চিনির বড় জোগানদাতা এস আলম গ্রুপের দুই প্রতিষ্ঠান এস আলম রিফাইন্ড সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ ও এস আলম এডিবল অয়েল লিমিটেড। মূলত আওয়ামী লীগ সরকারের সঙ্গে সখ্য ও প্রভাব কাজে লাগিয়ে আমদানি ব্যবসায় একচ্ছত্র প্রভাব তৈরি করে শিল্পগ্রুপটি।
জানা যায়, দেশের চাহিদা মেটাতে প্রতি বছর প্রায় ২২ লাখ টন চিনির প্রয়োজন হয়। যার ৯৮ শতাংশের বেশি চিনি আমদানি করতে হয়। দেশে ব্যক্তিখাতের পাঁচ শিল্পগ্রুপ সিটি, মেঘনা, এস আলম, আবদুল মোনেম লিমিটেড ও দেশবন্ধু সুগার মিল অপরিশোধিত চিনি আমদানি করে। পরে নিজেদের মিলে পরিশোধন করে এসব চিনি বাজারজাত করে তারা।
চাক্তাই খাতুনগঞ্জ আড়তদার সাধারণ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. মহিউদ্দিন জাগো নিউজকে বলেন, ‘এস আলম গ্রুপ খাতুনগঞ্জের জন্য বড় শিল্পগ্রুপ। বাজারে তেল-চিনি-গম থেকে শুরু করে ভোগ্যপণ্যের বেশ কয়েকটি আইটেম এস আলম গ্রুপ আমদানি করে। এসব পণ্য খাতুনগঞ্জে সরবরাহ করে এস আলম।’
তিনি বলেন, ‘এখন দেশে রাজনৈতিক সংকট চলছে। অন্তর্বর্তী সরকার ডলার সংকট সমাধানে কাজ করছে। এতে আমদানির এলসি খুলতে জটিলতা ধীরে ধীরে কেটে যাবে। তবে গত ৫ আগস্টের পরেও বাজারে এস আলম গ্রুপের তেল-চিনি সরবরাহ বন্ধ হয়নি।
১৯৭৫ সালের ১ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়েছিল। একই তারিখে বাংলাদেশের জন্য এই বাণিজ্য সুবিধা চালু করতে যাচ্ছে চীন।