অনলাইন://
গত মাসে ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে ১২ দিন ধরে চলা সংঘাতের পর থেকে আরব উপসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলো একরকম নীরব অবস্থানে রয়েছে। যদিও বিষয়টি অনেকের কাছে বিস্ময়কর লাগতে পারে।
কাতারের মাটিতে যুক্তরাষ্ট্রের আল উদাইদ বিমান ঘাঁটিতে ইরানের হামলা চালানো সত্ত্বেও এই পরিস্থিতি দেখা যাচ্ছে। প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে চলা এই যুদ্ধের শেষ পর্যায়ে ওই বিমান ঘাঁটিতে হামলা হয়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই হামলাটি ছিল নজিরবিহীন। কারণ কাতার ওই অঞ্চলে ইরানের অন্যতম শক্তিশালী মিত্র।
আরব উপসাগরীয় দেশগুলো আল উদাইদ বিমান ঘাঁটির ওপর হামলার ঘটনায় তৎক্ষণাৎ নিন্দা করেছিল। কিন্তু এই নিন্দা এবং হামলার খবর খুব তাড়াতাড়ি সংবাদ শিরোনাম থেকে হারিয়ে যায়।
তাদের জায়গায় এমন রিপোর্ট আসতে থাকে যা ইরান ও প্রধান উপসাগরীয় দেশগুলোর মধ্যে গড়ে ওঠা নতুন কূটনৈতিক সম্পর্কের দৃঢ়তাকে তুলে ধরে।
ইসরায়েল-ইরান সংঘাত শেষ হওয়ার পর সংযুক্ত আরব আমিরাতের কূটনৈতিক উপদেষ্টা আনোয়ার গারগাশের পক্ষ থেকে উপসাগরীয় অঞ্চল থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিবৃতি আসে।
তিনি এক্স (সাবেক টুইটার)–এ লেখেন, ইরানের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের হামলার ক্ষেত্রে উপসাগরীয় দেশগুলো দৃঢ় এবং কার্যকর অবস্থান নিয়েছিল। তা সত্ত্বেও ইরান ভ্রাতৃপ্রতিম দেশ কাতারের সার্বভৌমত্বের ওপর আক্রমণ করেছে, যা আমাদের সবাইকে প্রভাবিত করে।
তিনি আরও বলেন, যেহেতু এই অঞ্চলে যুদ্ধ শেষ হয়েছে, এখন উপসাগরীয় প্রতিবেশীদের সঙ্গে আবার আস্থার সম্পর্ক স্থাপন করার দায়িত্ব মূলত ইরানের।
এখন প্রশ্ন হলো– এই সংঘাত ইরানের সাথে উপসাগরীয় দেশগুলোর সম্পর্কে কেমন প্রভাব ফেলেছে।