মোঃ কামরুল ইসলাম, রাঙামাটি জেলা প্রতিনিধি:-
রাঙামাটির নৈসর্গিক পরিবেশে বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর ২০২৫) সকাল ১১টায় অনুষ্ঠিত হয় ট্যুরিস্ট পুলিশ রাঙামাটি রিজিয়নের মাসিক কল্যাণ সভা। সভায় সভাপতিত্ব করেন রাঙামাটি রিজিয়নের এডিশনাল ডিআইজি মো: খাইরুল আলম। সভায় রাঙামাটি জোন ইনচার্জসহ সকল পর্যায়ের কর্মকর্তারা সরাসরি উপস্থিত ছিলেন। পাশাপাশি খাগড়াছড়ি ও সাজেক জোনের ইনচার্জসহ অন্যান্য পদমর্যাদার কর্মকর্তা ও সদস্যরা ভার্চুয়ালি সভায় যুক্ত হন।
সভায় ট্যুরিস্ট পুলিশের বিভিন্ন কল্যাণমূলক দিক, সেবার মানোন্নয়ন, নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা এবং পর্যটনবান্ধব পরিবেশ গড়ে তোলার নানা পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হয়। এডিশনাল ডিআইজি খাইরুল আলম বলেন,
রাঙামাটি, সাজেক ও খাগড়াছড়ি—এই অঞ্চলগুলো বাংলাদেশের পর্যটন সম্ভাবনার এক উজ্জ্বল ভান্ডার। এখানে আগত দেশি-বিদেশি পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই আমাদের প্রথম অঙ্গীকার। ট্যুরিস্ট পুলিশের প্রতিটি সদস্যকে হতে হবে বন্ধুসুলভ, পেশাদার ও মানবিক।
সভায় কর্মকর্তারা মাঠপর্যায়ের কার্যক্রম, দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতা ও চ্যালেঞ্জ তুলে ধরেন। আলোচনা হয় স্থানীয় জনগণের সঙ্গে সমন্বয় বৃদ্ধি, সড়ক ও জলপথে নিরাপত্তা জোরদার, এবং উৎসবকেন্দ্রিক পর্যটন মৌসুমে বাড়তি প্রস্তুতি নিয়ে।
রাঙামাটি জোনের ইনচার্জ বলেন,
পর্যটকদের আস্থা অর্জনই আমাদের মূল লক্ষ্য। এজন্য প্রতিটি সদস্যকে সবসময় হাসিমুখে, আন্তরিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে।
সভায় উপস্থিত কর্মকর্তারা পর্যটন এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ট্যুরিস্ট পুলিশের সক্রিয় ভূমিকার প্রশংসা করেন। পাশাপাশি বিভিন্ন কল্যাণভিত্তিক প্রস্তাব যেমন সদস্যদের চিকিৎসা সহায়তা, বাসস্থান সুবিধা ও প্রশিক্ষণ উন্নয়ন—উপস্থাপন করা হয়।
এডিশনাল ডিআইজি খাইরুল আলম সদস্যদের উদ্দেশে বলেন,
সেবা শুধু দায়িত্ব নয়, এটি গর্বের বিষয়। আপনারা যখন কোনো পর্যটকের হাসিমুখ দেখতে পান—সেটিই আমাদের প্রকৃত পুরস্কার।
সভায় মাসের সেরা কর্মী হিসেবে কয়েকজন সদস্যকে পুরস্কৃত করা হয় এবং তাদের অনুকরণীয় ভূমিকার প্রশংসা করা হয়। সভা শেষে এক অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় কর্মকর্তারা পারস্পরিক অভিজ্ঞতা বিনিময় ও টিমওয়ার্কের গুরুত্ব নিয়ে মতবিনিময় করেন।
সভায় রাঙামাটি রিজিয়নের অধীনে তিনটি জোনের ট্যুরিস্ট পুলিশ সদস্যদের উপস্থিতি এক ধরনের সংহতির প্রতীক হিসেবে দেখা হয়েছে। অংশগ্রহণকারীরা জানান, নিয়মিত এই ধরনের সভা সদস্যদের পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধি এবং মানসিক উদ্দীপনা তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
রাঙামাটির পর্যটন অঞ্চলগুলোতে নিরাপত্তা ও সেবা নিশ্চিত করতে ট্যুরিস্ট পুলিশের এই ধারাবাহিক তৎপরতা স্থানীয়দের কাছেও প্রশংসিত হচ্ছে।
পর্যটকরা এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি নিরাপদ অনুভব করেন। ট্যুরিস্ট পুলিশের উপস্থিতি আমাদের এলাকায় এক ধরণের আত্মবিশ্বাস এনে দিয়েছে, বলেন এক স্থানীয় ব্যবসায়ীl