ঢাকা | বঙ্গাব্দ

বান্দরবানে সেনাবাহিনীর অভিযান: অস্ত্র সহ আটক ৯

  • আপলোড তারিখঃ 21-06-2025 ইং |
  • নিউজটি দেখেছেনঃ 257748 জন
বান্দরবানে সেনাবাহিনীর অভিযান: অস্ত্র সহ আটক ৯ ছবির ক্যাপশন: ১


বান্দরবান প্রতিনিধি://

পার্বত্য বান্দরবান জেলার সদর উপজেলার টংকাবতি ইউনিয়নের পুনর্বাসন চাকমা পাড়া ও ইমানুয়েল ত্রিপুরা পাড়ায় আলীকদম সেনা জোনের সাঁড়াশি অভিযানে একটি আঞ্চলিক সশস্ত্র সংগঠন এর ৯ জন সক্রিয় সন্ত্রাসী কে অস্ত্র সহ আটক করা হয়েছে।


আজ (শুক্রবার ২০ জুন ২০২৫) বান্দরবান রিজিয়ন সদর দপ্তরের নির্দেশক্রমে ভোর ৫:৩০ ঘটিকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আলীকদম সেনা জোনের সেনাসদস্যরা জোন উপ অধিনায়ক মেজর মোঃ মঞ্জুর মোর্শেদ, পিএসসি এর নির্দেশনায় এই অভিযান পরিচালনা করেন।


আলীকদম সেনা জোনের জোন উপ অধিনায়ক মেজর মোঃ মঞ্জুর মোর্শেদ, পিএসসি এ অভিযানের খবরটি নিশ্চিত করেছেন।


আটককৃতরা হলেন আনন্দ মোহন চাকমা (৭২), শান্তিরাম চাকমা (৩৩), চাতুই চাকমা (৩৫), শান্তি রঞ্জন চাকমা (৩৫), কল্পরঞ্জন চাকমা (৪৫), জ্যোতি বিকাশ চাকমা (২৮), পাখিরাম ত্রিপুরা (৩১), ছতিয় ত্রিপুরা (৬০) এবং জুয়েল ত্রিপুরা (২৬)।

এদের মধ্যে কল্পরঞ্জন চাকমা জ্বলন্ত চাকমা হত্যা মামলার আসামি।


নিরাপত্তা বাহিনীর প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, তারা দীর্ঘদিন ধরে জেএসএস (মূল) এর সক্রিয় সদস্য হিসেবে এলাকায় চাঁদাবাজি, ডাকাতি, সন্ত্রাসী কার্যকলাপ ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ভীতি ছড়ানোর মতো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন।


উদ্ধারকৃত আলামতের মধ্যে রয়েছে ৪টি গাদা বন্দুক, ২টি ব্যারেল, ৩টি ছুরি, ১টি ইউনিফর্মের নিচের অংশ, ২ জোড়া বুট, ১টি ট্যাব, ২টি মোবাইল ফোন এবং ইলেকট্রিক তার। উদ্ধারকৃত অস্ত্র এবং অন্যান্য আলামত জব্দ করে আটককৃতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।


এবিষয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মানইয়ং ম্রো বলেন, পুনর্বাসন চাকমা পাড়ায় সেনাবাহিনীর অভিযানে বেশ কয়েকজনকে আটক করেছে। সাম্প্রতিক সময়ে লামা-সুয়ালক সহ সরই ও টংকাবর্তী ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় অপহরণ চাঁদাবাজির ঘটনা বেড়ে গেছে। স্থানীয় একটি সশস্ত্র চক্র ঘটনাগুলোর সঙ্গে জড়িত রয়েছে।


এদিকে, আলীকদম সেনা জোনের জোন উপ অধিনায়ক মেজর মোঃ মঞ্জুর মোর্শেদ, পিএসসি, এলাকার সকল জনগণকে পাহাড়ি সন্ত্রাসীদেরকে সকল প্রকার চাঁদা প্রদান থেকে বিরত থাকার এবং সন্ত্রাসী গোষ্ঠী চাঁদা চাওয়ার সাথে সাথে আলীকদম সেনা জোনকে অবহিত করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, আলীকদম সেনা জোনের আওতাধীন আলীকদম এবং লামা এলাকায় কোনো প্রকার চাঁদাবাজকে ছাড় দেওয়া হবে না। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সকল প্রকার চাঁদাবাজি এবং যেকোনো ধরনের সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে সর্বদা তৎপর এবং অবৈধ অস্ত্রধারী ও চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর এ ধরনের অভিযান ভবিষ্যতেও চলমান থাকবে।


বিষয়টি নিশ্চিত করে বান্দরবানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল করিম জানান, পাহাড়ে অপহরণ চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে সেনাবাহিনীর অভিযানে অস্ত্রশস্ত্রসহ ৯ জনকে আটক করা হয়েছে। এদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।




কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ
notebook

রাঙ্গামাটিতে নবাগত পুলিশ সুপারের বিশেষ কল্যাণ সভা: পেশাদারিত্ব ও জনবান্ধব পুলিশিংয়ের নির্দেশ