মোঃমনিরহোসেন ://
সকালে হঠাৎই কাঁপতে শুরু করে সবকিছু। অল্পক্ষণেই বুঝতে পারি ভূমিকম্প। আশপাশের মানুষও ভয়ে চিৎকার করছিলেন। ভূমিকম্পের স্থায়িত্ব বেশিক্ষণ হওয়ায় দ্রুত পরিবার নিয়ে নিচে নেমে পড়ি। নিচে নেমেই চোখের সামনে দেখি সড়কে ত্রিপল ও ইট-সিমেন্ট এলোমেলোভাবে পড়ে আছে। মানুষজন একজন আরেকজনকে টেনে তুলছেন।
পুরান ঢাকার বংশালের কসাইটুলি এলাকায় ভূমিকম্পের সময় একটি সাততলা ভবনের ছাদের নিরাপত্তা দেওয়াল (রেলিং) ধসে পড়ে চার পথচারী আহত হওয়ার কথাগুলো এভাবেই বলছিলেন স্থানীয় বাসিন্দা নুরুল আহমেদ। তিনি পাশের একটি ভবনে থাকেন।
বললেন, ঘটনাটি শুক্রবার না হয়ে অন্যদিন ঘটলে আহত-নিহতের সংখ্যা কয়েকগুণ বেশি হতো। চোখের সামনে এমন দৃশ্য দেখে পরিবারের সবাই স্তব্ধ হয়ে গেছি।
এই ঘটনায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ওই স্থানে নিহতের সংখ্যা তিনজন। গুরুতর আহত হয়েছেন একজন।
বংশাল প্রধান সড়ক পার হয়ে সবাইকে ভূমিকম্পে নিহত হওয়ার ঘটনা বলতে বলেতেই নুরুল আহমেদ দেখিয়ে দিচ্ছিলেন ঘটনাস্থলটি।
বেলা সাড়ে ১২টায় ঘটনাস্থলে সরেজমিনে দেখা যায়, বংশালের কসাইটুলি এলাকার ২০ কে.পি ঘোষ স্ট্রিটের বাংলা স্কুলের সামনের স্থানটি ধ্বংসাবশেষে ভরা। এখানেই একটি সাততলা ভবন থেকে ছাদের নিরাপত্তা বেষ্টনীর ইট-সিমেন্ট পরে পথচারীরা গুরুতর আহত হন।
কিছুক্ষণ উদ্ধারকাজের কারণে সড়কটি জনসাধারণের চলাচলে আংশিকভাবে বন্ধ ছিল। আশপাশে জনতা ও গণমাধ্যমকর্মীদের ভিড় দেখা যায়। ভবনের চারদিকে দেয়া ত্রিপল ও বাঁশের কাঠামো ধসে সড়কের ওপর পড়ে আছে।
ঘটনাস্থলে উৎসুক জনতার ব্যাপক ভিড়ের কারণে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের। নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রণে যৌথ বাহিনী নামানো হয়। ঘটনাস্থলে দায়িত্ব পালন করেন সেনাবাহিনীর ৩০ জন সদস্য।